নিজস্ব প্রতিবেদন: জাভেদের মানহানি মামলায় কঙ্গনাকে তীব্র ভর্ৎসনা কোর্টের। কোর্টের তরফে অভিনেত্রীকে কড়া নির্দেশ, তিনি যাতে কোনওরকম অজুহাত না দেখিয়ে আগামী শুনানিতে উপস্থিত থাকেন। জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) দায়ের করা মানহানি মামলায় ফের বিপাকে পড়লেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)।
মঙ্গলবার মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের তরফে অভিনেত্রীকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়, তিনি যাতে কোনওরকম অজুহাত না দেখিয়ে আগামী শুনানিতে অতি অবশ্যই উপস্থিত থাকেন। উল্লেখ্য, মামলার শুনানিতে একাধিকবার অনুপস্থিত থাকার জন্য আন্ধেরি মেট্রোপলিটান কোর্টের কাছে কঙ্গনা বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় শাস্তির আবেদন জানিয়েছিলেন জাভেদ আখতার। তবে সেই আবেদন খারিজ দেয় আদালত। কোর্টের তরফে কঙ্গনাকে এই শেষবারের মতো সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিচারপতি।
এদিন কঙ্গনা অনুপস্থিত থাকার কারণ হিসেবে তার আইনজীবী বিচারককে জানান যে তিনি বর্তমানে মুম্বাইতে নেই, শুটিংয়ের কারণে তিনি শহরের বাইরে রয়েছেন। সেই কারণেই হাজিরা দিতে পারেননি তিনি তবে সেসব অজুহাতে বিচারকরা কান দেননি। কোর্টের তরফে এদিন স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে এরপর আর কঙ্গনাকে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে কঙ্গনার আইনজীবী জানিয়েছিলেন যে, অভিনেত্রী শহরে না থাকার জন্য আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। যদিও জাভেদ আখতারের আইনজীবী পাল্টা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, এবার না হয় শহরের বাইরে, তবে কঙ্গনা কোনওদিনই এই মানহানি মামলায় আদালতে হাজিরা দেননি কেন?
বিশিষ্ট কবি-গীতিকার জাভেদ আখতারের অভিযোগ, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কঙ্গনা তাঁর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, গতবছর ১৯ জুলাই টেলিভিশনে কঙ্গনার একটি সাক্ষাৎকার দেখে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কোনও রকম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই,
পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি না জেনেই অভিনেত্রী আক্রমণ শুরু করেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’-এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জাভেদ আখতার। বলাই বাহুল্য নেটিজেনরা এখন চোখ রেখেছেন কঙ্গনা এরপর কি করেন তার দিকে। কারণ এর পরের মামলার শুনানির দিনও অনুপস্থিত থাকলে গ্রেফতার হতে পারেন অভিনেত্রী।