নিজস্ব প্রতিবেদন: কুকুর একটি সামাজিক প্রাণী। আমরা প্রায় সব জায়গায় কুকুর দেখতে পাই। আমরা শখের বসে কুকুর লালন পালন করে থাকি। অনেক সময় আমরা কুকুর নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নিজেদের সাথে ঘুরতে ভালোবাসি কুকুর আমাদের সমাজের একটি হিংস্র প্রাণী ও বলা যেতে পারে।অনেক সময় কুকুর আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। কুকুর যেমন একটি সামাজিক হিংস্র প্রাণী তার পাশাপাশি কুকুর একটি ভাল বন্ধু বটে।
কুকুর মানুষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ও হয়ে থাকে মানুষের কাছে যদি কোন প্রাণী বন্ধুর নাম জানতে চাওয়া হয় তাহলে সকলের পছন্দের শীর্ষে থাকবে কুকুর নামের প্রাণীগুলো ।আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কুকুর লালন-পালন করতে এবং তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে ভালবাসে ।তারা সব সময় কুকুর কে দেখাশোনা করে থাকে ।
এ বোবা প্রাণী গুলোকে তারা আদর-যত্নের সাথে খাইয়ে-পরিয়ে নিজের সাথে রেখে দেয়। তাদের যত্ন ও পরিষ্কার পরিচর্যা করে থাকে ।অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা কুকুর পছন্দ করে ভালোবাসে তারা তাদের কুকুরটি কে নানা রকম ভাবে ট্রেনিং দিয়ে থাকে। যাতে করে তারা তাদের কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারে এবং তাদের মালিকদেরকে কিছুটা হলেও যেকোনো কাজে সাহায্য করতে পারে।
ঠিক এমন একটি কুকুরকে ট্রেনিং দিয়ে লালন পালন করেছে এমন একটি মানুষ ।যার কথা ছাড়া তার পোষা কুকুরটি কোন কাজ করে না বরং তারা আদেশের অপেক্ষা করে থাকে। তারা আদেশের নরচর করে না। কুকুর পুষতে চান এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য ।আমাদের সমাজের প্রায় প্রত্যেকটি মানুষই না হলেও বেশিরভাগ মানুষই কুকুর পুষতে ভালোবাসে। তারা সকলেই চায় তাদের একটি কুকুর থাকুক যে কুকুরকে পোষ মানিয়ে নিজেদের মতো করে চালাবে।
তাদেরকে একটি জায়গার মধ্যে এনে ট্রেনিং দিবে ।যাতে করে কুকুর গুলো তারা তাদের মালিকের কথার অমান্য না করে এবং মালিক যা করতে বলে তারা যেন তারা করে। এমন একটি মানুষ হচ্ছে যে তার কুকুরকে এমনভাবে ট্রেনিং দিয়েছে যে তারা আদেশ ছাড়া তার কুকুরগুলো খাবার পর্যন্ত খায় না ।বরং সে আদেশ দিলে তার কুকুরগুলো খাবার খেতে আসে। খাবার দেওয়া পর্যন্ত কুকুরগুলো তার মালিকের জন্য লাইনে অপেক্ষা করে ।
তারা কোন হট্টগোল করে না লাইনে থাকার সময়। লাইনে থাকার সময় তারা অত্যন্ত আদবের মধ্য দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ।এরপর যখন তাদের মালিক খাবার নিয়ে তাদের সামনে দেয় তখনও তারা খায় না বরং মানুষ যখন বলে খেতে তখন তারা তাদের খাবার খেতে যায়। তাদের খাবার সামনে থাকা সত্বেও তারা খাবারে মুখ দেয় না বরং মালিকের আদেশের অপেক্ষা করে। এমন প্রভুবিরুতা, গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সকলকে ভাবিয়ে তুলে।