নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঙ্গালীদের পুরনো ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলোর মধ্যে শুটকি অন্যতম। কিন্তু গন্ধের কারণে অনেকেই খেতে চাননা এই খাবারটি। তবে একটু যত্ন করে রান্না করলে শুঁটকি খেতে বেশ মজা লাগে। এছাড়া রুচিবর্ধক খাবারগুলোর মধ্যেও শুঁটকি মাছ অন্যতম। আজ শুঁটকির তেমনই একটি রেসিপি জানাবো। আলু আর বেগুন দিয়ে লইট্টা শুঁটকি ভুনা।
শুঁটকি মানবদেহে প্রোটিনের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ‘ডি’ রয়েছে; যা হাড়, দাঁত, নখের গঠন মজবুত করার জন্য যথেষ্ট জরুরি। এছাড়া এই মাছে শরীরের জন্য উপকারী অনেক রকম খনিজলবণও রয়েছে।এতে আরো রয়েছে উচ্চ মাত্রার আমিষ বা প্রোটিন ও কোলেস্টরেল।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, নিয়মিত শুঁটকি মাছ খায় এমন ব্যক্তিদের ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর, যক্ষ্মা এই অসুখগুলো সহজে হয় না। এতে আয়রন, আয়োডিনের মাত্রা বেশি থাকায় দেহে রক্ত বাড়ায়, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, শরীরের হরমোন জনিত সমস্যা দূর করে। শুঁটকি মাছ দেহে লবণের ঘাটতি পূরণ করে দূর্বলতা কাটায়।
উপকরণঃ ১। লবন – স্বাদমত, ২। লইট্টা শুটকি – ৩/৪ টা, ৩। লাল আলু মাঝারি ফালিকরা -৩/৪ টা, ৪। লম্বা বেগুন ফালিকরা – ৩ টা, ৫। সয়াবিন তেল – ১ কাপ, ৬। রসুন কুচি – ১ টেবিল চামচ, ৭। ধনিয়া গুড়া – হাফ চা চামচ, ৮। কাচা মরিচ ফালিকরা – ৫/৬ টা, ৯। পিয়াজ কুচি – ২ কাপ, ১০। হলুদের গুড়া – ১ চা চামচ, ১১। মরিচের গুড়া- ১ চা চামচ.
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে শুঁটকিগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ৩০ মিনিট নরমাল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে হাল্কা গরম পানিতে আরো ৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে হাল্কা ডলা দিয়ে টুকরোগুলো আবারো ধুয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি, থেঁতানো রসুন ও পরিষ্কার করে রাখা শুঁটকি দিন। মিডিয়াম আচে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভেজে এতে, লবন, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন।
এরপর আলু ও বেগুন দিয়ে আরো কিছুক্ষণ নেড়ে ঢেকে দিন। একটু পর পর নেড়ে দিতে হবে যেন পুড়ে না যায়। যখন তেল উপরে উঠে আসবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিন। যারা গন্ধের ভয়ে শুঁটকি খেতে চান না তারা একবার এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। আমার বিশ্বাস আপনিও শুঁটকি ভুনার ভক্ত হয়ে যাবেন।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ