নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঙ্গালীদের জীবনের সাথে খাওয়া-দাওয়া সেই শুরু থেকেই মিশে আছে, যেখানেই যাক পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন পেট ভরে খেতে পারলে যেন শান্তি। অনেকের কাছে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে দেখি এক ধরনের নেশা। অনেকেই আবার রান্না করতে ভালোবাসে। তবে কিছু কিছু খাবার আছে যা খুবই মুখরোচক। খাবার ছোট থেকে বৃদ্ধ বয়সের মানুষ পর্যন্ত খেতে পছন্দ করে। বিভিন্ন ধরনের খাবারের বৈচিত্র গুলো আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে দেখে থাকি।
একেক দেশের খাবার-দাবার এর ধরন একেক রকম। যার ফলে অগণিত ধরনের খাবার আছে যা একেক দেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। কিছু কিছু খাবার তাদের জাতীয় খাবার হিসেবে পরিচিত। এইসব তথ্য আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে থাকি। যারা রান্না করে বা নতুন রান্না শিখছে তারাই যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সহজেই বিভিন্ন রান্নার রেসিপি দেখে শিখতে পারে। বর্তমানে অনেকেই রান্না কে নিজেদের পছন্দের শৌখিনতা হিসেবে নিয়েছে। সকলেই নতুন নতুন রান্না শিখতে পছন্দ করে।
এসকল রান্নার রেসিপি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই পাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন ধরনের রান্নার কৌশল ও পরিমাণ সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে। যাতে করে সহজেই যে কেউ রান্না শিখে ফেলতে পারে। এমন একটি মুখরোচক খাবার হলো ফুচকা। ফুচকা সকলেই তৃপ্তি সহকারে খেয়ে থাকে। এই খাবারটি সকল দেশেই মুখরোচক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এমন একটি ফুচকা বানানোর ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়। যেখানে ফুচকা বানানোর সহজ পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়।
যাতে কেউ সহজেই এটি বানাতে পারে। যেহেতু এটি মুখরোচক খাবারের শীর্ষে তাই এ ভিডিওটি ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয় ও প্রশংসা পায়। ভিডিওটিতে দেখা যায় একজন মহিলা ফুচকা বানানোর কৌশল দেখাচ্ছে। ফুচকা বানানোর মূল উপাদান হলো সাবুদানা। সাবুদানা গুলোকে ব্লেন্ডার মেশিনে ভালো করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। গুড়োর পরিমাণ সঠিক রাখার জন্য এটি ছাকনির সাহায্য চেলে নিতে হবে। এবারের মধ্যে কিছু সুজি, এরারুট, ফুচকার গুঁড়া দিতে হবে।
উল্লেখ্য যে যদি ফুচকার গুড়ু না দেয়া হয় তবে ফুসকা ভালো ফুলবে না। আবার যদি এরারুট এর পরিমাণ বেশি হয় তবে ভালো ফুলবে না। তাই উপাদান গুলো ঠিক মাত্রায় দিতে হবে। এরপর এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ ফুড কালার দিয়ে করা যায় তবে না দিলে সমস্যা নাই। এর পর উপাদান গুলো মিশিয়ে নিয়ে এর মধ্যে অল্প অল্প করে গরম পানি দিতে হবে । ভালো করে মেশাতে হবে উপাদান গুলোকে।
মেশানোর পর এগুলো ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। রেখে দেয়ার পর মাখানো অংশ থেকে ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে ভালো করে 10 মিনিট করে একেকটা কেটে নেয়া অংশ গুলোকে ডলে নিতে হবে যাতে একদম সফট হয়ে যায়।এর পর এগুলোকে পাতলা করে বেলে নিতে হবে। এর পর আরেকটি কাটা অংশ বেলে নিয়ে একটি আরেকটির উপর রেখে আবার ভালো করে বেছে নিতে হবে।
এর পর ফুসকা কাটার এর সাহায্যে কেটে নিতে হবে। যদি কাটা না থাকে,তাহলে ছোট বোতল কেটে ফুচকা কাটা যাবে। এর পর রোদে শুকিয়ে এগুলোকে ভাজতে হবে। ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো দিয়ে ভেজে নিতে হবে। অবার শুকনো ভাবে ভেজে নেয়া যায়।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ