অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান এবং তার বন্ধু আরবাজ বণিকসহ মোট ১৫ জনকে মুম্বাইয়ের একটি ক্রুজে এনসিবি অভিযানে ড্রাগ পার্টি মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনসিপি নেতা নবাব মালিক দাবি করেছেন যে একটি ক্রুজে একটি ড্রাগ পার্টিতে ব্যুরো অফ নারকোটিকস কন্ট্রোলস (এনসিবি) অভিযানটি ভুয়া ছিল।
এই খবরটিও পড়ুন: যখন আমি এনসিপিতে যোগ দেব তখন আমি এই সাংসদকে সঙ্গে নেব; কর্ডিলের বক্তব্য একটি বিতর্কের জন্ম দেয়। বিজেপির বিরুদ্ধে এই ভুয়া কর্মকাণ্ডের পিছনে দোষারোপ করে মালিক এনসিবি -র বিরুদ্ধেও কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা জানতে পারব এখানে কোন অফিসারকে কাস্টমসের বাইরে বসানো হয়েছে, কে কথা বলা শুরু করেছে,
কে মানুষের মধ্যে ভয় তৈরি করছে, কোন বিজেপি নেতারা এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করছেন। বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বদনাম হচ্ছে এবং এখন পরবর্তী টার্গেট হলেন অভিনেতা শাহরুখ খান। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। ” এই দাবি করেছিলেন নবাব মালিক।
মহারাষ্ট্রে উদ্ধব সরকারের সহযোগী ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র নবাব মালিক শাহরুখ খান ফটো আরিয়ান খান এর স্বপক্ষে রয়েছে। তিনি বলেছেন বিজেপি এবং এনসিবি মধ্যে যথেষ্ট ভাল যোগসূত্র রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই হয়তো আরিয়ানকে ফাঁসানো হচ্ছে।
তিনি বলতে চাইছেন বিজেপি ইচ্ছে করে বলিউড এবং মহারাষ্ট্রের মধ্যে যোগসূত্র নষ্ট করতে চাইছে। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে আরিয়ান খান তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মুনমুন ধামেচা, আরবাজ মার্চেন্ট সহ আরো অনেকে। ইতিমধ্যেই তাদেরকে ফরেনসিক টিমের কাছে পাঠানো হয়েছে।
৭ই অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতে থাকবেন তারা। প্রথমে পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করলেও শেষে গিয়ে তদন্তের খাতিরে আরিয়ান খান স্বীকার করে নেন যে তিনি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য সেবন করেন। এমনকি গত চার বছর ধরে তিনি আমেরিকার দুবাই সব জায়গাতেই মাদক সেবন করে এসেছেন।