নিজস্ব প্রতিবেদন: এ মাছ সাড়ে ৩ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। মাছটি ১০০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। মাছের পিঠে পাখনা থাকে, যা অনেক বড় হয়। এতে অন্য কোনো মাছ তাকে দেখতে পায় না। মাছটি সাগর থেকে ভুলক্রমে নদীতে চলে আসতে পারে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদ্দুছ বলেন, মাছটি সামুদ্রিক। বড় পাখনা থাকায় এটিকে পাখি মাছ বলা হয়। বিরল এ মাছ আগে কখনো এ অঞ্চলের মানুষ দেখেনি। এ কারণে মাছটি দেখার জন্য উৎসুক মানুষ ভিড় করছে। নদীতে ৪৬ কেজি ওজনের একটি সামুদ্রিক মাছের দেখা মিলেছে। এই মাছটিকে আগে কখনো এ অঞ্চলের মানুষ দেখেনি।
প্রায় নয় ফুট লম্বা মাছটি ভোরে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদী থেকে ধরা পড়ে বলে জানান সুরুজ হাওলাদার। এই সময় নতুন এই মাছটি দেখে উৎসুক অনেকে ভিড় করেছে। পরে তিনি স্থানীয়ভাবে এলাকার লোকজনের কাছে ৫০০ টাকা কেজি দরে ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ন্যাশনাল ওশান সার্ভিসের তথ্যে দেখা যায়, অনেক মৎস্য বিশেষজ্ঞের মতে সেইল ফিশ মহাসাগরের সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রাণী। মাছটি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে, তর্কসাপেক্ষে যা ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। নৌকার পালের মতো এর পৃষ্ঠীয় পাখনাটি দেখতে হয় বলে একে সেইল (পাল) ফিশ বলা হয়।
এ মাছ সাড়ে ৩ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। মাছটি ১০০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। মাছের পিঠে পাখনা থাকে, যা অনেক বড় হয়। এতে অন্য কোনো মাছ তাকে দেখতে পায় না। মাছটি সাগর থেকে ভুলক্রমে নদীতে চলে আসতে পারে। এক রাতেই ভাগ্যবদল সেই জেলের। এলাকার লোকজনের কাছে ৫০০ টাকা কেজি দরে ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।