১০ বছর ধরে একটি নদী পরিষ্কার রাখছে এই কুকুর, ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিও, আমা’দের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য পদার্থ থেকে সেসকল বর্জ্য উৎপন্ন হয় তা অ’সাবধানতাবসত বা ইচ্ছাকৃত ভাবে আমা’দের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেই। এসবের মধ্যে রয়েছে নিত্য ব্যবহৃত প্লাস্টিক, পলিথিন, টিনের কৌটা সহ নানা ধরনের অ’পচনশীল বর্জ্য পদার্থ।
আমা’দের মাঝে অনেকেই ইচ্ছাকৃত ভাবে অলসতা করে এসব বর্জ্য আশেপাশে উন্মুক্ত পরিবেশে ফেলি। আমা’দের পরিবেশকে সুন্দর রাখতে এসব বর্জের সঠিক ব্যবস্হাপনা অত্যন্ত প্রয়োজন।
প্রতিটি শহর এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভাগু’লো বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু তাদের একার পক্ষে সব সময় এ বিশাল দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয়না যখন আমর’া ব্যক্তিগতভাবে সচেতন না হই।
তাছাড়া বিভিন্ন সংস্হা আছে যারা সিটি কর্পোরেশনের কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্দোগে বর্জ ব্যবস্হাপনার কাজ করে থাকে। তবে এক্ষত্রে যে বি’ষয়টি সবচেয়ে গু’রুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে তা হলো আমা’দের ব্যক্তিগত সচেতনতা।
মাঝে মাঝে মানুষকে অবাক করে দিয়ে কিছু গৃহপালিত প্রানীকে আমর’া এসব কাজ করতে দেখতে পাই৷ এসব প্রানী মানুষের থেকেও বেশি সচেতন যারা এসব বর্জ্যকে সঠিক স্হানে ফেলে আমা’দের দেখিয়ে দেয় যে কিভাবে আমা’দের চলা উচিত একটি সুন্দর বসবাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করার জন্য।
আমা’দের ব্যক্তিগত সচেতনতা সিটি কর্পোরেশনের কাজ সহজ করার মাধ্যমে আমা’দের একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে পারে।
সম্প্রতি এমনি একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যায় চীনের একটি নদী ‘হতে একটি কুকুর সাঁতরে প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে এনে ডাস্টবিনে ফেলছে। কুকুরটি প্রতিদিন গড়ে 20-30 টি বোতল কুড়িয়ে এনে ডাস্টবিবে ফেলে।
এ পর্যন্ত কুকুরটি প্রায় ২ হাজারের অধিক বোতল নদী থেকে সাঁতার কে’টে কুড়িয় এনে ডাস্টবিনে ফেলে নদী রক্ষায় সহায়তা করেছে। চীনের গনমাধ্যম পিপল্স ডেইলি জানিয়ে কুকুরটি দৈনিক এই কাজ করে এবং একটি নির্দি’ষ্ট ডাস্টবিনে এনে প্লাস্টিক ফেলে।
নিরলস ভাবে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এভাবে নদী ‘হতে সাঁতার কে’টে প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে এনে ডাস্টবিনে ফেলছে। অনেকে হাসি তামাশা করে বলেছে কুকুরটিকে সিটি কর্পরেশনে বড় পদ দেওয়া উচিত। কুকুরটির এ ধরনের কাজ দেখে কিছু মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃ’ষ্টি হয় যারা নিজেদের ভুল শুধরে নিয়ে সচেতনতার সাথে তাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক এখন ডাস্টবিনে ফেলে। এতে করে শহরটিতে বর্জ্য ব্যবস্হাপনায় কিছুটা উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
ইন্টারনেটে মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং নেটিজেনরা ভিডিওটির প্রশংসা করেন। অনেকে কমেন্টে দূঃখ প্রকাশ করেন আমা’দের অ’সচেতনতা নিয়ে এবং কুকুরটির থেকে আমা’দের শিক্ষা গ্রহন করতে বলেন। পাশাপাশি অনেকে দূঃখ প্রকাশ করে সচেতন হবার পাশাপাশি একটি সুন্দর পৃথিবী বাস্তবয়নের জন্য আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছেন।