বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ চারদিকে শুধু পানি আর পানি। মারা গেলে কবরে মৃত ব্যক্তিকে কলাগাছের ভেলা ভাসিয়ে দিয়েছে। নিজের আপন জন রয়েছে মাঠের পর মাঠ বন্ধ কল-কারখানা। ব্যবস্থা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।বন্যা মানুষের থাকার জায়গা নেই ইনকাম নেই খাবারের অভাব। সংসার বলে কিছু নেই।
উদ্দেশ্যে সত্যিই অনেক অবাক হতে হয়। বৃষ্টি হচ্ছিল প্রচুর পরিমাণে পানি আরো ফুলে-ফেপে উঠছিল ।বাংলাদেশের শত শত নদী রয়েছে আর সব নদীর উৎপত্তিস্থল ভারত অথবা চীন। আরও প্রতিবছর বর্ষার সময় নদীতে প্রচুর পরিমাণে বন্যার পানি আসে। আর এতে আরও প্রকট হয় বর্ডার পানি। প্রতিবছর বাংলাদেশের নদীগুলো বহন করে 263 টনের ওর বেশিপানি। পলি পলি গুলো জমা করে রাখা যেত তাহলে পাঁচ বছরে শ্রীলঙ্কার মতো একটি দেশ গড়ে উঠতে পারত।
সাগরে প্রচুর পরিমাণে পানি আসে তার ওপরে ভারত তাদের ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দিয়েছিল তখন বন্যার পানি কম ছিল না। একদম বাংলাদেশের তিন ভাগের দুই ভাগ ছিল পানির নিচে ইতিহাসে এর চেয়ে ভয়াবহ বন্যার নেই। ভারতের মেঘালয় আসাম উত্তর প্রদেশ বিহার পশ্চিমবঙ্গ বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে চারদিকে শুধু পানি আর পানি। কেউ মারা গেলে তাকে কবর দেওয়ার জায়গা অনেক বেশি কলাগাছের ভেলা করে পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
নিজের আপনজনরাই লক্ষ মানুষের সংসার ছিল লন্ডভন্ড মানুষের ঘরের চাল পর্যন্ত পানি শোবার জায়গা নেই। খাওয়া-দাওয়া ঘুমানো ওসব পায়খানা করেছিল ঘরের চালে। সে সময় একবারে থেকে অন্য বাড়ি যাবার একমাত্র বাহন ছিল কাঠের তৈরি ছোট ছোট নৌকা। কিসের কাজ নেই গৃহস্থের খাবার নেই কল কারখানা বন্ধ মানুষের চলাচল বন্ধ থাকবে না।
কিন্তু বন্যার কারণে বিদ্যুৎ চারদিকে শুধু অন্ধকার। অনেক রান্না করতে হতো খিদের জ্বালায় ঘুম আসলোনা জীবনরক্ষাকারী পানি বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে ।তখন মানুষ বন্যার পানি নিয়ে অনেকেই খাচ্ছে তখন বাবা মার খোদার জ্বালা সহ্য করে খাবার তুলে দিয়েছে তার সন্তানদেরকে। বাবা-মা আছে কি করে সেইসময় ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছে একমাত্র তারাই ভালো জানেন।
বন্যার পানিতে ডুবে গিয়েছিল অসম্ভবের গিয়েছিল কারখানা ।সব বন্ধ ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে মোট কৃষি খাতের ক্ষতির পরিমাণ ছিল তিনশ হাজার কোটি টাকা খাবার পানির টিউবল ছিল পানি নিচে পানি কাঁচা পায়খানার মগ পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছিল। সব মিলিয়ে বিষাদ ও সকলে ছিল বিপদে। ভাসমান বিশুদ্ধ পানির অভাব ছিল।
সব মিলিয়ে বলা যায় যে তখন মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল।আর সেই বন্যার কথা আজ বুলতে পারে নাই বাংলা মানুষ।