তরমুজ ভালবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আম’রা সবাই এই রসালো, সুস্বাদু এবং প্রা’ণজুড়ানো ফল খেতে ভালবাসি। একটা তরমুজ কেনা লটারি জেতার মত বিষয়, হয় আপনি সুস্বাদু, রসালো, পাকা মিষ্টি কোন ফল পাচ্ছেন, না হয় একেবারেই পানসে! লটারি জিততে চাইলে আমাদের আর্টিকেল আপনার জন্যে! এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই আপনি বাজার থেকে একটা চমৎকার তরমুজ কিনে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
অভিজ্ঞ কৃষকের কাছ থেকে পাওয়া কিছু টিপস আপনাদের সাহায্য করবে সেরা তরমুজটা বেছে নিতে। ফলের গায়ে মাঠের দাগ খুঁজুন ফলের গায়ে যেই হলুদ দাগটি দে’খতে পাবেন ওটাই মূলত মাঠের দাগ। এই অংশটাই মাটির সাথে লে’গে ছিলো। সুস্বাদু পাকা ফলের মাঠের দাগ অবশ্যই হলদে হবে এমনকি কমলা-হলদেও হতে পারে, কিন্তু সাদা হবে না।
ফলের গায়ে জালিকা খুঁজুন: ফলের গায়ে এমন বাদামি জালের মত দাগ দে’খতে পেলে বুঝতে পারবেন ফুলটিতে মৌমাছি বহুবার পরাগায়ন ঘ’টিয়েছে। যত বেশি পরাগায়ন তত বেশি মিষ্টি ফল।
মেয়ে আর ছেলে তরমুজ: অনেক মানুষই জানে না কৃষকরা তরমুজে’র লি’ঙ্গ নির্ধারণ করে দেয়, বড় লম্বাটে এবং ভারী তরমুজকে ছেলে এবং গোলাকার তরমুজকে মেয়ে বলে নির্ধারণ করে। ছেলে তরমুজগুলো হয় পানসে এবং মেয়ে তরমুজগুলো হয় সুস্বাদু।
আ’কারে মনোযোগ দিন: একেবারে বড় কিংবা একদম ছোট তরমুজ বাছাই না করে বাছাই করুন মাঝারি আ’কারের কোন একটাকে। কিন্তু আ’সল বিষয় হলো, তরমুজকে অবশ্যই আ’কার অনুযায়ী বেশি ভারী অ’নুভব হতে হবে।
বোঁটা পরীক্ষা করুন: শুকিয়ে যাওয়া বোঁটার মানে হলো ফলটি আগে পেকেছে অর্থাৎ পাকার পরে তা তোলা হয়েছে। আর যদি বোঁটা অপেক্ষাকৃত সবুজ থাকে তবে এর মানে হলো ফলটি পাকার আগেই তুলে ফেলা হয়েছে, আর পাকবে না।