ওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট – এই নিয়ে ভাষণ চারিদিকে কিন্তু এই নিয়ে যতই কথা হোক না কেন এ কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে দেশের মেয়েরা আজও পিছিয়ে পড়ে আছে। বহু জায়গায় মেয়েদের শিক্ষার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে বিয়ে।
বিয়েই যেন মেয়েদের একমাত্র লক্ষ্য আর এই ধারণা পরিবর্তন করতে মেয়েদের এগিয়ে দিতে তাদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে, লিঙ্গ সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হচ্ছেন রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় সরকার। মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী থেকে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এর মতোন বিভিন্ন প্রকল্প আনা হচ্ছে।
সম্প্রতি ফের আনা হলো নতুন একটি স্কিম যার মাধ্যমে উপকৃত হতে চলেছেন বহু কন্যারা। মেয়েদের জন্য আনা এই নতুন প্রকল্পের নাম “লাডলি লক্ষী যোজনা।” মধ্যপ্রদেশ সরকারের উদ্যেগে আনা হয়েছে এই প্রকল্প।
মধ্যপ্রদেশ সরকার সেই রাজ্যের মেয়ে শিশুর ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে গত 2007 সালে এই স্কিম চালু করেছিলেন। এর ১৫ বছর পূর্তিতেই আরো জোরদার করা হলো লাডলি লক্ষী যোজনা 2.0. আগের থেকে আরও বেশি সুবিধা পেতে চলেছে এবার মেয়েরা।
এই যোজনার অধীনে কন্যা সন্তান জন্মের পর রাজ্য সরকার টানা পাঁচ বছর ধরে ছয় হাজার টাকা করে দেবে। এরপর ওই শিশু ষষ্ঠ শ্রেণীতে পৌঁছালে ২০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেবে। শুধু এইটুকুনিই নয় মেয়েটির বয়স ২১ বছর হলে বিয়ের সময় সরকার মেয়েটিকে একেবারে এক লাখ টাকা দেবে।
তবে হ্যাঁ এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে শিশুর মা বাবার আয় আয়করের আওতায় আসা চলবে না। অর্থাৎ করদাতারা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য নয়। এই প্রকল্প পেতে গেলে মধ্যপ্রদেশে একটি আবাসিক শংসাপত্র থাকতে হবে। পরিবারের দুই সন্তানের বেশি কেউ এই সুবিধা পাবেন না। প্রকল্পে আবেদন করার জন্য থাকতে হবে আধার, রেশন কার্ড ও কন্যা সন্তানের জন্ম সার্টিফিকেট।