তিনি বর্তমানে ভারতের স’বচেয়ে বড় ধনী ব্যাক্তি। তার ব্য’ক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ আকাশছোয়া। যত দিন যাচ্ছে উত্তরোত্তর তাঁর সম্পদের পরিমাণ বৃ’দ্ধি পাচ্ছে। তাঁকে টেক্কা দেওয়ার মতো বিত্তবান এদেশে কেউ নেই। প্রত্যেকেই শতযোজন পিছিয়ে রয়েছেন। আর তাই তার ব্য’ক্তিগত সংগ্রহে থাকা জিনিস তা সেই তার বাড়ি এন্টিলা বা তার স্ত্রীর স’বচেয়ে দামি শাড়ি যে বিশেষ দৃষ্টি আক’র্ষণ করবে তা স্বা’ভাবিক ব্যাপার।
স’ম্প্রতি মুকেশ আম্বানিকে এক নতুন গাড়িতে দেখা গিয়েছে। আর এই গাড়ি তাকে নিয়ে এসেছে সংবাদের শিরোনামে।এমনিতে মুকেশ আম্বানির বাড়িতে দামি গাড়ির কোনো কমতি নেই। পৃথিবীর সমস্ত কোম্পানির বিলাসবহুল গাড়ি তার বাড়িতে দেখা যায়। কিন্তু এই গাড়ি তাকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায় আজকের প্র’তিবেদনে আম’রা সেই নিয়েই আলোচনা করব। মুকেশ আম্বানির সংগ্রহে এসেছে নতুন এক গাড়ি। এই গাড়ির বর্তমান এক্স শোরুম মূল্য ৮.৭ কোটি টাকা। গাড়িটি বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজে’র একটি গাড়ি। এই গাড়ির বিশেষত্ব হলো নি’রাপত্তা, যা বর্তমানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির নি’রাপত্তার স’ঙ্গে সমানে টক্কর দিতে পারে। আসুন জে’নে নিই এই গাড়ির নি’রাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য।
বিএমডব্লিউ গাড়িটিতে নি’রাপত্তার জন্য বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। সমস্ত গাড়িতে ভি আর সেভেন ব্যালেস্টিক মানের নি’রাপত্তা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই গাড়ির নি’রাপত্তা যে কোন রাষ্ট্রপ্রধানের গাড়ির নি’রাপত্তা সমকক্ষ। এই গাড়ির মধ্যে ব্যবহৃত প্রতিটি জা’নালার কাঁচ এবং সম্মুখের কাঁচ ৬৫ মিলিমিটার পুরু বুলেটপ্রুফ কাঁচ দিয়ে তৈরি যাদের মোট ওজন ১৫০ কেজি। এই কাঁচ এ কে ফরটি সেভেন থেকে বের হওয়া বুলেটে ভেঙ্গে যায় না।
এই গাড়ি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে যা গ্রেনেড আ’ক্রমণ থেকেও গাড়িতে থাকা ব্য’ক্তিদের অক্ষ’ত রাখতে পারে। এই গাড়ির নি’রাপত্তা এমন ভাবেই সুনি’শ্চিত করা হয়েছে যে বিরাট কোনো বি’স্ফো’রণ অর্থাৎ যদি ১৭ কেজি ওজনের টিএনটি বি’স্ফোরক দিয়েও বি’স্ফো’রণ করানো হয় তাহলে গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যাবে না অর্থাৎ প্রতিহত ক’রতে পারবে।
এই গাড়ির জ্বা’লানি ট্যাংক এমনভাবে বানানো হয়েছে যা উচ্চ তাপমাত্রা ও অ’গ্নি প্র’তিরো’ধক। এই গাড়ি মধ্যে থাকা কোন ব্য’ক্তি নিজেকে কোন রাসায়নিক হা’মলা থেকেও র’ক্ষা ক’রতে পারবে। কারন গাড়ির মধ্যে রাখা হয়েছে এক বিশেষ চেম্বার যেখানে থাকবে অক্সিজে’নের ব্যব’স্থা অর্থাৎ এই গাড়ি রাসায়নিক আ’ক্রমণ প্রতিহত ক’রতেও সক্ষম।
এই গাড়ির কেবিন এমন ভাবে বাড়ানো হয়েছে যে তা অ’গ্নি প্র’তিরো’ধক এবং এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় অ’গ্নিনির্বাপক ব্যব’স্থাও মজুদ আছে। এই গাড়ির চাকার দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। গাড়িতে ব্যবহৃত চাকা বুলেটপ্রুফ প্রতিহত ক’রতে পারবে । এই গাড়ির টায়ারও সাধারণ নয় ডাবল লেয়ার টায়ারও রয়েছে। গু’লি লা’গার পরও পাঞ্চার হবে না। এমনকি যদি বুলেট দ্বারা চাকা কোন ক্ষ’তিগ্রস্থও হয় তাহলে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে এই গাড়ি।
এই গাড়ির ইঞ্জিন টুইন টার্বো সিক্স পয়েন্ট জিরো লিটার বি টুয়েলভ পে’ট্রোল ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন এর দ্বারা ৫৪৪ বিএইচপি শ’ক্তি উৎপন্ন করা যায়। এই গাড়ি ৬.২ সেকেন্ডে ঘন্টায় ১০০কিলোমিটার গতি অর্জন ক’রতে পারে। গাড়ির সর্বো’চ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২১০ কিলোমিটার।
এই গাড়ির মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ প্রযু’ক্তি যার সাহায্যে গাড়িটি স্যাটেলাইট দ্বারা ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। এছাড়াও বি’পদকালে গাড়ির মধ্য থেকে আপদকালীন সংবাদ দেওয়ার ব্যব’স্থা হয়েছে। এই গাড়ির এক্স শোরুম দাম ৮.৭ কোটি টাকা এবং উচ্চ নি’রাপত্তা বৈশিষ্ট্যের জন্য রেজিস্ট্রেশন ক’রতে খরচ পড়েছে ১.৬ কোটি টাকা। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই গাড়ি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহৃত গাড়ির চেয়ে কোন অংশেই কম নয় বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ছাপিয়ে যাবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
চালকের প্রয়োজন হলে বেসরকারি সংস্থাকে চালক খোঁ’জার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সংস্থা লোক খুঁজে তাঁকে ট্রেনিং দিয়ে তারপরে পাঠায়। শুধু ট্রেনিং করলেই যে ড্রাইভারের চাকরি মিলবে এমনটা নয়। ট্রেনিংয়ের পরে হাজারো টেস্ট দিতে হয়। সেগু’লিতে পাশ করলে তবেই চাকরি পাকা হয়।
মুকেশ আম্বানির গাড়ির চালক কত রোজগার করেন তা জানলে অনেকের চোখ কপালে উঠবে। তাঁর যা রোজগার তাতে তিনি লজ্জায় ফে’লে দিতে পারেন দেশের বড় কর্পোরেট সংস্থার ক’র্মী দেরও। মুকেশ আম্বানির গাড়ির চালক মাসে ২ লক্ষ টাকা বেতন পায়।