ঘর-বাড়ি প’রিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে কিছু কী’ট-পতঙ্গ আমাদের চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, আরশোলা।রান্নাঘর, বাথরুম বা বারান্দার নানা কোণে আরশোলার উপ’স্থিতি দে’খতে পাওয়া যায়। আরশোলা মূলত বর্জ্য-আবর্জনায় থাকে। তাই জী’বাণু বয়ে বেড়াতে ওস্তাদ। এর পর ঘরের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ায়, কখনও খাবার-দাবারের উপর।
এতে এর গায়ে থাকা জী’বাণুও ছড়িয়ে পড়ে ঘরে। আরশোলামু’ক্ত ঘর পেতে বাজারচলতি নানা রাসায়নিক স্প্রে-র উপর নির্ভর করেন অনেকেই। কিন্তু সে সব রাসায়নিকেরও কিছু ক্ষ’তিকর দিক আছে। কিছু ঘরোয়া উপায় মানলে ঘর থেকে আরশোলাকে সরানো যায় দ্রুত
তেজপাতা – সব চেয়ে সহ’জ ও সস্তা উপায়ে আরশোলা তাড়াতে এর চেয়ে ভাল পদ্ধতি আর নেই। সপ্তাহে কয়েক দিন তেজপাতার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন ঘরের আনাচে কানাচে, এর গন্ধ আরশোলা সহ্য ক’রতে পারে না। বেকিং সোডার স’ঙ্গে মেশান মধু বা চিনি। মিষ্টির স’ঙ্গে মিশিয়ে তা ছড়িয়ে দিতে পারেন ঘরে। মিষ্টির গন্ধে আরশোলা সেই খাবারে আকৃষ্ট হবে ও বেকিং সোডার প্রকোপে মা’রাও পড়বে।
বোরিক পাউডারের স’ঙ্গে আটা বা ময়দার গুঁড়ো মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন ঘরের চারপাশে। মা’রা পড়বে আরশোলা। ঘর মোছার জলে কয়েক ফোঁটা লেবুর র0.সদিয়ে ঘর মুছুন, আপনার ঘর হবে পোকামাকড়মু’ক্ত। আরশোলা তাড়াতেও একই টোট’কা ব্যবহার ক’রতে পারেন।
বোরিক অ্যাসিডের স’ঙ্গে চিনি মিশিয়ে সেই মি’শ্রণ ব্যবহার করুন। এতে শুধু আরশোলা নয়, পালাবে যেকোনও পোকামাকড়। চিনির টানে আরশোলা আসবে আর বোরিক অ্যাসিডের মতো বিষের সংস্প’র্শে এলেই ম’রবে। একচামচ গোলম’রিচ,
কিছুটা রসুন আর অর্ধেক পেঁয়াজ বেটে তাতে এক লিটার জল মেশান।সাবান জলও মেশাতে পারেন এতে। এবার রান্নাঘর ও বাথরুমে ছিটিয়ে দিন ওই মি’শ্রণ। চাইলে ঘর মোছার জন্যও ব্যবহার ক’রতে পারেন। আরশোলা এই মি’শ্রণের গন্ধ সহ্য ক’রতে পারবে না। আর পালাবে আপনার বাড়ি ছেড়ে।