নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবার ঢোলের তালে নানান কায়দায় নেচে উৎসুক জনতাকে মুগ্ধ করল এই ক্ষুদে বালক, পুরো ইন্টারনেটে সাড়া জাগিয়েছে এই ভিডিও! দারিদ্রতা মানুষের জীবনের চরম মুহুর্ত এনে দেয়। আমি দারিদ্রতা দূর করার জন্য মানুষ কতই না পরিশ্রম করে। দু’মুঠো খাবার জন্য মানুষ প্রচুর পরিমাণে কষ্ট করে। পেয়ে কষ্ট অট্টালিকার পাস করা মানুষগুলো মর্ম বুঝবে না। আমাদের দেশে এমন অনেক দরিদ্র মানুষ আছে যারা না খেয়ে দিন কাটাই।
তাদের কষ্টের কথা শুনলে মনে হয় যেন আমি কোথায় আছি? আমি কোন তাদের সাহায্যে দুহাত বাড়িয়ে দিচ্ছি না। এই দরিদ্র মানুষগুলোর টাকা না থাকতে পারে কিন্তু তাদের আত্মসম্মান আকাশ চুম্বী। তারা দুমুঠো না খেয়ে থাকলেও আপনার কাছে হাত পাতবে না কিন্তু তারা কাজ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে।
তাই তারা কাজের সন্ধানে বিভিন্ন উপায় খুঁজে বেড়ায়। ঠিক তেমনই একজন ব্যক্তি ঢোল বাজাচ্ছে এবং তার ছেলে সেই ঢোলের তালে তালে নেচে অর্থ উপার্জন করছে। এটাই তাদের অর্থ উপার্জনের মাধ্যম।
ছেলেটির বাবা এলাকায় ঘুরে ঘুরে ঢোল বাজায় এবং সেই সব তালে তালে ছোট্ট ছেলেটি কি সুন্দর নেচে বেড়ায়। মাঝে মাঝে তারা একটি স্থানে বসে ঢোল বাজায় এবং তালে তালে ছেলেটি নাচে। ছেলেটির নাচ দেখে রাস্তার মানুষগুলোর মন আনন্দে ভরে উঠে। রাস্তার মানুষগুলো যে যার মত যার সামর্থ্য যতটুকু ততটুকু ছেলেকে সম্মানী প্রদান করে। সারাদিনের নেচে খেলে যে সম্মানী পায় তা দিয়ে তাদের সংসার চলে।
এ যেন এক বাস্তবতার নির্মম পরিহাস। আমরা অট্টালিকায় থাকার মানুষগুলো বাস্তবতার কখনো উপলব্ধি করতে পারবোনা। কারণ আমরা যে জন্যই সবকিছু তৈরি পেয়েছি কিন্তু দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা কতই না কষ্ট করে তাদের বাবা-মায়ের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার।
তাদের হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নেই। তবে তারা মানুষ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত লোকের চেয়ে অনেক বড় মনের মানুষ। তারা আর কিছু নাই জানুক দায়িত্ব নিতে জানে, সম্মান করতে পারে, শ্রদ্ধা করতে পারে।
ছোট্ট এই ছেলেটির এখন হয়তো পড়াশোনার প্রয়োজন ছিল, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন ছিল। এই বয়সে ছোট ছেলে মেয়েরা কি সুন্দর হেসে খেলে জীবনটা কাটিয়ে দেয় কিন্তু এই ছেলেটি নিজের সংসারের জন্য পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করছে।
ছেলেটির এই নাচ এবং ছেলের বাবার ঢোল বাজানোর ভিডিওটি নেটদুনিয়ায় ছেড়ে দিলে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাল হয়ে যায়। ভাইরাল হাওয়াই ভিডিওটি দেখে প্রচুর মানুষের মন বিচলিত হয়ে পড়ে। উপলব্ধি করতে পারে দারিদ্রতা মানুষকে কতটাইনা কষ্টের সম্মুখীন করে ফেলে।
তবে ছেলে এবং ছেলের বাবাকে সেলুট জানাতে হয়। কারণ তারা খারাপ কাজ না করে মানুষের কাছে হাত না পেতে নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছে। এবং সে পরিশ্রমের অর্থ দিয়ে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার কিনে নিচ্ছে সংসারের অন্যান্য খরচ চালিয়ে নিচ্ছে।
আপনারা যদি ছেলেটির এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও টি দেখতে চান আমাদের নিচের লিংকে ক্লিক করতে পারেন।