বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছে মুকেশ আম্বানির পরিচয় আলাদাভাবে দিতে লাগে না। তার পরিচয় ছড়িয়ে আছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। তার দৌলতেই আজ আমরা সকলে জিও সিম ব্যবহার করছি। মুকেশ আম্বানি হলেন রিলায়েন্স গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অষ্টম স্থানে রয়েছেন।
পাশাপাশি গোটা এশিয়ার ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে মুকেশ আম্বানি একজন। তবে আজ আমরা মুকেশ আম্বানি কে নিয়ে নয় তার রাজপ্রাসাদ ‘আন্তিলিয়া’-র ব্যাপারে জানবো। ‘আন্তিলিয়া’ হল মুকেশ আম্বানি সপ্নের রাজ প্রাসাদের নাম। যেখানে কোন কিছুর অভাব নেই।
সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে এই ‘আন্তিলিয়া’-তে। তার পরিবারে সদস্য ৫ কিন্তু বাড়ি ২৭ তলা। বাড়িটি এমনভাবেই তৈরি ভূমিকম্প হলেও ভেঙে পরবেনা এই বাড়িতে। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে এই বাড়িটি সম্পর্কে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ‘আন্তিলিয়া’-র ব্যাপারে।
সাউথ মুম্বাইয়ের আল্টামাউন্ট রোডের উপর তৈরি ‘আন্তিলিয়া’। এটি নিজের মনের মতন করে তৈরি করেছেন মুকেশ আম্বানি। ১০০ কোটি টাকা খরচা করে মুকেশ আম্বানি বানিয়েছিলেন এই বাড়িটি।এই ২৭ তলা বিল্ডিং বিশিষ্ট ‘আন্তিলিয়া’-তে রয়েছে হেয়ার স্পা থেকে শুরু করে স্যালোঁ, বলরুম, সুইমিং পুল, যোগা স্টুডিও, ডান্স স্টুডিও, একটি আইসক্রিম পার্লার এবং ব্যক্তিগত থিয়েটার।
যেখানে একসঙ্গে প্রায় ৫০ জন মানুষ একসাথে বসে সিনেমা দেখতে পারবেন। এই থিয়েটারের ছাদটা একটি বিশাল বাগান বিশিষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এই বিল্ডিংটির ছয় তলাতে গাড়ি পার্কিংও করা যায়। এখানে একত্রে ১৬৮টি গাড়ি পার্ক করা যায়। এই বাড়িতে নটি এলিভেটর আছে এবং ৬০০ জন আছে বাড়িটিকে দেখাশোনা করার জন্য।
এই বাড়িতে মুকেশ আম্বানি এবং তার স্ত্রী নিতা আম্বানি সহ, তাদের পুত্র আকাশ আম্বানি ও তাঁর স্ত্রী শ্লোকা মেহতা আম্বানি এবং তাদের সদ্যোজাত একমাত্র সন্তান পৃথিবী আম্বানি থাকেন এই পুরো বাড়িটা। আম্বানির পুরো বাড়িটা ৫ জনের জন্য তৈরি করেছেন।
বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুকেশ আম্বানির তার এই রাজ প্রাসাদকে তৈরি করেছেন। আন্তিলিয়া এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে রিখটার স্কেলে ৮ ম্যানিটিউড মাত্রার ভূমিকম্পেও কোনও প্রভাব ফেলতে পড়বেনা এই বাড়িটির ওপর। অর্থাৎ ভূমিকম্প হলেও এই বাড়িটি ভেঙে পড়বে না।