প্রকৃতির চেয়ে রহস্যময় আর কেই বা হতে পারে,আমাদের সামনে সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে থাকলেও এর পরতে পরতে মিশে আছে মৃত্যুর আশংকা।প্রকৃতিতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা আমাদের অনাবিল আনন্দের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়,বিপরীতে এমন ঘটনাও ঘটতে দেখা যায় যা আমাদের অন্তরাত্মাকে কাঁপিয়ে তোলে।
আইনস্টাইনের গতির তৃতীয় সূত্র অর্থাৎ “প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত মুখী প্রতিক্রিয়া আছে ” প্রকৃতিতেও বিরাজমান।অর্থাৎ প্রকৃতি যতটাই সুন্দর ততটাই ভয়ংকর। প্রকৃতির বিপরীত মুখী রুপ নিয়ে এত এত কথা বলার কারণ জানাব এখন আপনাদের।
আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ।বর্তমান যুগে মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় ভুমিকা পালন করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।আমরা প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের ভিডিও দেখি।পশুপাখির লড়াইয়ের নানা ধরনের ভিডিও আমাদের নিউজফিডে ভেসে আসে।এবার এরকম একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা মানুষকে রীতিমতো অবাক এবং বিস্মিত করছে।
আমরা জানি বনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রানী হচ্ছে বাঘ কারণ এর ক্ষিপ্রতা।এই গুণের কারণেই বাঘ শিকারে খুবই পারদর্শী। যার কাছ থেকে রক্ষা পায়না কেউই।
এরকমই একটা শিকারের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।সম্প্রতি ইউটিউবে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বনের মধ্যে একটা নদীতে সাতার কাটছে কুমির। দুর থেকে একটা চিতা বাঘ তাকে লক্ষ করে এবং তাকে শিকারের টার্গেট করে।বাঘটি খুবই ধীরে ধীরে ঝোপ ঝাড়ের আড়ার দিয়ে নদীর তীরে এসে ওত পেতে থাকে।যা চিতা বাঘের শিকার করার একটা ধাপ।
সে শিকারকে নাগালে পেয়ে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে।কুমিরটি নদীতে ভাসতে ভাসতে তীরের কাছাকাছি গেলে চিতা বাঘটি সুযোগ পেয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কুমড়ির ঘাড় কামড়ে ধরে।শিকারের হাত থেকে বাচার জন্য কুমির আপ্রাণ চেষ্টা করে।কিন্তু অবশেষে যুদ্ধে হেরে যায় কুমির।পরিনক হয় চিতা বাঘের খাবারে।
এরকম ঘটনা আমাদের পরিবেশে অহরহ ঘটতে দেখা যায়।কারণ হিসাবে বলা যায় খাদ্য পিরামিডের শৃঙ্খলা বজায় রাখা।তবে এসব ঘটনার ভিডিও অতটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসে না।তাই এই ভিডিওটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারিদের এত মাতামতি।ভিডিওটি শেয়ারের সাথে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় আনাচে কানাচে।কমেন্ট সেকশনে মতামত জানাচ্ছেন অনেক এবং শেয়ারও হচ্ছে দ্রুত।