নিজস্ব প্রতিবেদন: পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা তাদের ঘর নিয়ে অনেক ইমোশনাল। তার মধ্যে আমি একজন। সারা জীবনের কামায় দিয়ে যখন পছন্দমত একটি ঘর তৈরি করব তখন ওই ঘরের প্রতি অবশ্যই কিছু ইমোশান কাজ করবে।কখনো কোনো গভর্মেন্টের চাপে পড়ে কখনো আপনার পছন্দের কমেন্টে ছাড়তে যাবেন না। ঠিক তেমনি এমন কিছু বাড়ির মালিক যারা নিজেদের বাড়ি কখনোই বিক্রি করতে চাইনি। আর এজন্য তারা সরকার থেকে শুরু করে ধনী বিল্ডার্সের সাথে অনেক লড়াই করে।
আজকের ভিডিওটি তাদের এই কর্মকাণ্ড গুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক তাদের পরিচয় এবং কর্মকাণ্ড গুলো। ইয়ং: প্রথম দেখায় মনে হবে এ বিল্ডিংটির আশেপাশে কোন একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্যবশত একটি বিল্ডিং বেঁচে গেছে। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে তিন তলা বিল্ডিং এর মালিক ইয়াং কোনোভাবেই তা বিক্রি করতে চাচ্ছিল না। সে তার বিল্ডিংটি বিক্রি না করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে কোর্টে কেস করেছে।
তারপর সর্বোপরি দুই বছর পরে কোর্ট তার পক্ষে রায় দেয়। এই ঘটনাটি চায়নাতে ঘটে। ফার্ম হাউস ইন জাপান”স এয়ারপোর্ট: এ ফার্ম হাউস টি জাপানের একটি এয়ারপোর্ট এর মধ্যে অবস্থিত। জাপান সরকার যখন ইয়ারপোট বানাতে চেয়েছিল তখন এই স্থানের কৃষকরা স্পষ্ট মানা করে দেয় তাদের জমি ছাড়তে। এবং কোর্টের রায় কৃষকদের পক্ষেই যায়। অস্টিন স্প্রিগস: আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে বড় বড় বিল্ডিং এর পাশে এই লোকের একটি বিল্ডিং।
এখানে যখন বিল্ডিং বানানো শুরু হয় তখন আশেপাশের অন্যান্য ব্যক্তিরা তাদের বাড়ি ছেড়ে অন্য স্থানে চলে যায়। কিন্তু এই বাড়ির মালিক কিছুতেই তার বাড়ি ছাড়তে চায় না। পরবর্তীতে তিনি এই বাড়িটিতে একটি পিজ্জার দোকান খোলে। এবং পরে তিনি তার ব্যবসায় লস হয়। এবং সে তার বিল্ডিং পুনরায় লস দিয়ে বিক্রি করে। লুয়া ভাউজেন: রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা এ বিল্ডিং এর মধ্যে থাকতেন এই ব্যক্তি এবং তার বউ।
এই স্থানকে যখন রাস্তা তৈরি করা হয় তখন সরকার তাকে কোনভাবেই সরাতে পারেনি। এবং সরকার এবার এটি ওই স্থানে রেখে তার আশপাশে দিয়ে রাস্তা তৈরি করে। মেসফিল্ড হাউস: এটি আমেরিকার ওয়াশিংটনে অবস্থিত। একটি বড় এক শপিং মলের পাশের ছোট্ট একটি বারে দেখা যায়। কিন্তু এটি কোন শপিংমলের অংশ না।কিন্তু যখন বিল্ডিং কোম্পানি তাদের শপিং মলটি তৈরি করছিল তখন বিল্ডিং কোম্পানির বাড়ির মালিক কে মিলিয়ন ডলারের অফার করেছিল।
কিন্তু তিনি কোনমতেই উনার বাড়ি বিক্রি করতে চাইনি। সেই বাড়ীতে একা থাকতো । এবং এই কোম্পানিটি কোন উপায় না পেয়ে ওই বাড়ির আশেপাশে দিয়ে তাদের শপিং মলটি তৈরি করে বাড়িটির কোন ক্ষতি ছাড়াই। এবং তার দুই বছর পর ওই বাড়ির মালিক মারা যায়। এবং মারা যাওয়ার পূর্বে তিনি উনার বাড়িটি শপিং মল কোম্পানির নামে নসিহত করা যায়। কিন্তু পরবর্তীতে ওই শপিংমল কোম্পানি বাড়িতে কিছু না করে এভাবে রেখে দেয়।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ