ঘুমাতে যাওয়ার আগে – ঘুমত যাওয়ার আগে আপনার স’ঙ্গীর সাথে কিছু সময় কাটানো জ’রুরি। হোক সে কয়েক ঘণ্টা অথবা কয়েক মিনিট। দা’ম্পত্য জীবনে আনন্দ আনার জন্য একে অপরের সাথে মজা করা, কথা বলা এবং ভালোবাসা প্রকাশই যথেষ্ট। আপনাদের দা’ম্পত্য জীবন সুখময় করার জন্য সাইকোলজিস্টরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যা এই আর্টিকেল থেকে জানবেন। শেষে রয়েছে একটি বিশেষ বোনাস।
১. ফোন দূরে রাখুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটালে আবেগ এবং বন্ধনের জন্য জ’রুরি হরমোন অক্সিটোসিনের নিঃসরণ কমে যায়। সাইকোথেরাপিস্ট কোরল কেরির পরামর্শ হলো: রাত ৯টার পরপরই আপনার ফোন বন্ধ করে দিন হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।
২. কাজের চিন্তা ভুলে যান: কাজের চিন্তা মাথা থেকে দূরে সরিয়ে দিন এবং বিছানয় শুয়ে ইমেইল চেক করার অভ্যাস বাদ দিন। এর চেয়ে ভালো হয় নিজেদের মধ্যে কিছু সময় ব্যয় করুন, যার ইতিবাচক ফলাফল পরের দিনই টের পাবেন। বি’ছানায় শু’য়ে শু’য়ে কথা বললে দম্প’তিদের বন্ধন বেড়ে যায় এবং দৈনন্দিন সম’স্যার কথা মাথা থেকে বেরিয়ে হয়। ফলে আপনি মানসিক ভাবে আরাম বোধ করবেন। এ সময় কাজের কথা, অর্থনৈতিক সম’স্যার কথা বা অন্য যেকোনো বিষয় যা আপনার স’ঙ্গীকে ভ’য় পায়ইয়ে দেবে এমন কিছু বলবেন না।
৩. আপনার স’ঙ্গীর সাথে একই সময় বি’ছানায় যাবেন: অনেক দ’ম্পতি ব্যস্ততার কারণে সারা দিন একে অপরের দিকে তাকানোরও সময় পান না এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘুমাতে যান। সাইকোলজিস্ট কার্ট স্মিথের মতে, সুখী দ’ম্পতিরা রাতে খাওয়ার পর এক সাথে দাঁত ব্রাশ করেন এবং একই সময়ে ঘুমতে যান। এই বিষয়টি তাদের দা’ম্পত্য জীবনের বন্ধনকে দৃ’ঢ় করে এবং তাদের ঘ’নি’ষ্ঠতা বাড়ায়।
৪. একটি রুটিন মেনে চলুন: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস আপনার ঘুমের অসুবিধা দূর করবে। যখন সব সময় একই রুটিন মেনে চলবেন তখন, আপনার মস্তিষ্ক ঘুমানোর নি’র্দেশ পাবে এবং শরী’রকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করবে। যদি আপনার স’ঙ্গীর সাথে এই একই রুটিন মেনে চলেন তাহলে আপনাদের স’ম্পর্কের গভীরতা এবং একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে।
৫. হৃদয়ে-হৃদয়ে কথা বলুন: একে অন্যের অনুভূতির প্রতি মনোযোগী হোন। আপনাকে উপদেশ দিতে হবে না বা সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হবে না। সাইকোলজিস্ট রেয়ান হাউইস পরামর্শ দেন, ঘুমনোর আগে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্র’কাশ করুন। এতে পরের সারা দিন সুখী সুখী ভাব বিরাজ করবে আপনার মধ্যে। ফলে আপনার জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সারাদিন কি হয়েছে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন, এবং আপনার সকল সম’স্যা এবং ভাবনা শো’য়ার ঘরের দরজার বাইরে রেখে আসুন। যখন আপনি হৃদয় দিয়ে কথা বলবেন তখন তা খুব গু’রুত্বের সাথে এবং মনোযোগ দিয়ে বলা জ’রুরি।
৬. ত’র্ক এবং বাজে আ’চরণ থেকে বি’রত থাকুন: কার্ট স্মিথ মনে করিয়ে দেন যে, বি’ছানায় যাওয়ার আগে অবশ্যই ঝ’গড়া করা যাবে না। ঝ’গড়া কখনো সমাধানের পথ দেখায় না। তার উপর রাগ নিয়ে যখন ঘুমাতে যাবেন তখন আপনার চোখে ঘুম আসবে না এবং পরের দিন খুব বাজে কাটবে।
৭. শিশুদের আলাদা ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা করুন: সাইকোলজিস্ট মাইকেল ভিনর-ডেভিস এর মতে, আপনার শিশু যদি একা ঘুমাতে ভয় পায়, দুঃস্বপ্ন দেখে তাহলেই কেবল সাথে নিয়ে ঘুমন। আর অন্য সময় শোয়ার ঘরকে নিজেদের করে রাখুন। নিজেদের ভালোবাসা এবং সুস’ম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এটুকু ছাড় আমাদের দিতে হবে।
৮. পোষা প্রাণিদের বি’ছানায় নেবেন না: কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিছানায় পোষা প্রাণি নিয়ে শুতে যান তাদের ৬৩% ভালোভাবে ঘুমতে পারেন না। পোষা প্রা’ণিরা সারা রাত এক নাগারে ঘুমতে পারে না এবং আপনার ঘুমের ভাঙ্গিয়ে বিরক্ত করে। আর তাছাড়া শোয়ার ঘরে পোষা প্রাণির উপস্থিতি ‘দ্যা রুল অব টু’ ভঙ্গ করে।
৯. শোয়ার ঘরে ধূ’মপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন: অনেক দ’ম্পতি শোয়ার ঘরে ধূমপান ও ম’দ্যপান করে থাকেন। বিশেষ করে পুরুষ সঙ্গী। এতে ঘরের পরিবেশ দূষিত হয়, এবং মুখে বাজে গন্ধ তৈরি করে। ফলে নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগ্রহ কমে যায়। এরা অনিদ্রার জন্যও দায়ী। তাই শোয়ার ঘরে কখনো ধূমপান বা মদ্য’পান করবেন না।
১০. একে অপরকে ম্যাসাজ করে দিন: ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অব স্লিপ নিশ্চিত করেছে যে, ঘুমানোর আগে সামান্য ম্যাসাজ আপনার ঘুমের মান উন্নত করবে। পাশাপাশি ভয়, জড়তা দূর করে দম্পতিদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ করে দেয়।