নিজস্ব প্রতিবেদন: এই পৃথিবীতে বহুজাতি প্রাণী আছে। একেক রকম প্রাণীর বৈশিষ্ট্য একেক রকম। জলজ প্রাণী কিছুই স্থলজ প্রাণী এবং কিছু পাখি আকাশে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ায়। তবে একেক প্রাণী ধর্ম একেক রকম। জলজ প্রাণী জলে বাস করে অথচ প্রাণী জলে বাস করে। কিন্তু যেসব প্রাণী আকাশে স্বাধীনভাবে উড়ে বেড়ায় সেই সব প্রাণে কিন্তু গাছের উপরে বাসা বেঁধে থাকে।
পৃথিবীতে কিছু প্রাণী আছে গৃহপালিত আবার কিছু প্রাণী আছে খুবই ভয়ঙ্কর। বর্তমানে ভয়ংকর কিছু প্রাণী মানুষ গৃহপালিত পশু হিসেবে পালন করে। তবে ওরা বড় হয়ে যেন মালিকের ছোবল মারে। তাদের মধ্যে সাপ অন্যতম।
দেরিতে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে সাপের সাথে মানুষের বসবাস। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল ইত্যাদি এসব দেশের মানুষ সাপ পুষে বড় করছে। এ যেন সাপ তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে এসব গুলো খুব বড় জাতের সাব হয় যেমন পাইথন।
এশিয়া মহাদেশের সবগুলো বেশিরভাগ বিষধর সাপ হয়। এশিয়া মহাদেশে মানুষ সাপ পুষে এমনটা যেন আশ্চর্য। এই এশিয়া মহাদেশের গ্রামগুলোতে সাপ যেন মানুষের ঘরে ঢুকে মানুষকে নিত্য নতুন ভাবে ভয় দেখিয়ে থাকে। সাপকে সবাই ভয় পায় কারণ তাদের ছোবলে মানুষ মারা যাবে এটাই স্বাভাবিক।
পৃথিবীতে এমন কিছু সাপ আছে যাদের এক ছোবলেই মানুষের মৃত্যু নির্ঘাত। আবার এমন কিছু সাপ আছে যাদের বিশ্বে কোন কাজ হয়না। আবার এমন কিছু সাপ আছে তাদের ছোবল মারতে হয় না তাদের লেগে থাকা বিষ দিয়ে মানুষকে কুপোকাত করে ফেলে।
আজ আপনাদের একটি জনপ্রিয় ভাইরাল হওয়া ভিডিও সম্পর্কে বলবো। ভিডিওতে একটি কোবরা সাপের ছোবল খেলে সাপুড়ে নিজেই হাসপাতালে ভর্তি। ভারতের উত্তর প্রদেশে এলাকার একটি গ্রামের ছোট্ট একটি ঘরের চাঁদের কোনা সাপটি আটকা পড়ে।
বাড়ির মালিক সাপটিকে দেখে সাপুরি কে খবর দেয়। সাপের একটা নাগিন ছিল। সাতটি বেশ বড় ছিল আর এমনভাবে সাতটি টিনের কর্নারে লুকিয়ে ছিল যে বের করাই কঠিন শব্দ হয়ে পড়েছিল। একসময় সাপটিকে বের করার জন্য চেষ্টা করা হলে সাপটি রেগে যায়। এবং ছোবল মারার কায়দা সুযোগ খুঁজে বেড়ায়।
পড়ে যখন সাপ ধরার লাঠি দিয়ে সাপকে ধরার চেষ্টা করছিল তখন সাপের মাথার অংশ ঘরের বাহিরে বের করে দেয়। উৎসবটি পালাবার চেষ্টা করেছিল ঠিক এই সময়ে সাপুড়ের তার নিজের অংশটি ধরে ফেলে। অংশটি ধরার ফলে সাপটি নড়াচড়া করতে পারছি না। অবস্থায় সাপের মাথার অংশ বাহিরে বের করার ফলে লোকটি বাহিরে গিয়ে মাথার অংশটি ধরার চেষ্টা করে।
যে সময় সাপটিকে ধরে ঠিক সেইসময় সাপটি সাপুড়ের হাতে ছোবল মেরে বসে। যদিও সাপটি যেমন বিশুদ্ধ ছিল না তবুও সাপের বিষ মুখের মাধ্যমে বের করে নেয়। এরপর সাপটিকে একটি প্লাস্টিকের কৌটার মধ্যে নেয়ার চেষ্টা করে। একসময় সাপটিকে কৌটা ভরে ফেলে কোটার মুখটি আটকে দিয়ে সাপটিকে চাকুরী নিয়ে যায়।
তবে সাপটিকে নেয়ার পর লোকটি তাদের এলাকার সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপুড়ে লোকটি সালাম গ্রহণ করে।
যদিও এশিয়া মহাদেশের বেশিরভাগ লোকের একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে যে সাপ মানুষকে কামড়ালে তন্ত্র মন্ত্র দিয়ে ঠিক করা যায়। মানুষের এই ধারনাটি সম্পুর্ন একটি ভুল ধারণা। আরে থেকে রোগী অতি সহজে বানানো যায় এবং গ্রামের অনেক লোককে ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে একটি ভুল পথে পরিচালনা করায়।
আপনাকে পরিচিত বা আপনার গ্রামের কেউ কাউকে যদি সাপে কামড়ায় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে হসপিটালে নেওয়ার বন্দোবস্ত করবেন। কারণ রোগের চিকিৎসা কিন্তু ডাক্তারি করতে পারে কোন ওঝা নয় ।
আমাদের সকলের উচিত এই কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা। কারণ এই ভুলভ্রান্তি নিয়ে বসবাস করলে হরহামেশায় অনেক তরুণ-তরুণী প্রাণ যেতে পারে। আমাদের উচিত সঠিক তা জেনে কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসা।
আপনারা যদি এই অসাধারণ ভাইরাল ভিডিওটি দেখতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখতে পারবেন।