ওজন ছাড়াই খুব সহজেই ঘরো পদ্ধতিতে জানতে পারবেন সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস রয়েছে। ভিজে কাপড় দিয়ে সিলিন্ডারটিকে খুব ভাল করে মুছে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, সিলিন্ডারের গায়ে যেন কোনও ধুলোর আস্তরণ না থাকে। মোছার ২-৩ মিনিট পর দেখা যাবে, সিলিন্ডারের কিছুটা অংশ শুকিয়ে গিয়েছে, বাকি অংশ ভিজে রয়েছে।
রান্নাবান্নার জন্য এখন প্রত্যেকের ঘরেই গ্যাস আছে। গ্যাসের সাহায্যে তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায় খুব সহজেই এবং কাঠ-কয়লা জাল দেওয়ার মতো ঝামেলা না থাকায় গ্যাসে রান্না করতেই পছন্দ করেন অনেকে। ভারতবর্ষের অনেক গ্রামেও এখন গ্যাস পৌঁছে গেছে। তবে গ্যাসে রান্নার একটা মুশকিল হলো, সিলিন্ডারে কতটা পরিমান গ্যাস আছে তা আগে থেকে বোঝা ভীষন ভাবে মুশকিল।
এর ফলে হয়তো আপনার বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান আছে আর সেদিনই গ্যাস ফুরিয়ে গেল। এর ফলে চরমতম হয়রানির সম্মুখীন হবেন আপনি। অনেকটা অনুমানের ওপর ভরসা করেই গ্যাসে রান্না করতে হয় এবং গ্যাসের মেয়াদ বোঝা যায়। গ্যাস ফুরিয়ে গেলে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে নতুন সিলেন্ডার পাওয়া সম্ভব নয়।
কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। তবে যাদের দুটো সিলেন্ডার নেওয়া তাদের এই নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়না। কিন্তু, যাদের একটাই সিলেন্ডার তাদের এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছেন মধ্যপ্রদেশের একটি সায়েন্স কলেজের অধ্যাপক বিজেন্দ্র রায়। গ্যাস কতটা আছে তা বোঝার জন্য প্রথমে ভিজে কাপড় দিয়ে সিলিন্ডারটিকে ভাল করে মুছতে হবে।
এমন ভাবে মোছা উচিত, যাতে সিলিন্ডারের গায়ে কোনও ধুলোর আস্তরণ থাকলেও তা উঠে যায়। মোছা শেষ হলে দেখা যাবে সিলিন্ডার শুকোতে শুরু করেছে। দু’-তিন মিনিট পরে খেয়াল করলে দেখা যাবে সিলিন্ডারের কিছুটা অংশ শুকিয়েছে, বাকি অংশ ভিজে রয়েছে। সেই অংশ শুকোতে একটু সময় লাগছে।
প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, যতটা অংশ ভিজে থাকবে সেই অংশেই গ্যাস রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। অধ্যাপক রায় জানিয়েছেন, যেখানে তরল কিছু থাকে, সেখানকার তাপমাত্রা খালি জায়গার তুলনায় কম হয়। ফলে সিলিন্ডারের যে অংশটুকুতে এলপিজি রয়েছে, সেই অংশটি শুকোতেও সময় বেশি লাগে।