Breaking News

এলোভেরার এর বিস্ময়কর 5 টি উপকারিতা, যা নিমিষেই দূর করবে মুখের সমস্থ ব্রন সহ কালোদাগ, রইল ব্যবহারের নিয়মসহ ভিডিও!

নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্বক আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রকাশ করে থাকে। আর এই বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট করতে অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা।আর এছাড়াও আমরা প্রায় সব সময় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি। এ সমস্যাগুলো আমরা দূর করার জন্য বিভিন্ন রকম ফর্মুলা ব্যবহার করে থাকি। অনেক সময় ফর্মুলা গুলো কার্যকর হলোও বেশিরভাগ সময়ই এগুলো ব্যবহার করে কোন প্রকার ফলাফল পাওয়া যায় না।

ত্বকের সমস্যা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মেছতা ও ব্রণের কাল দাগ। ত্বক যত্নের জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহার আমরা সবাই একটু আদটু জানি। অ্যালোভেরার মধ্যে যে অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান থাকে তা ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমিয়ে দেয় এবং ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূরীকরণ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমরা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যা গুলো সমাধান করার জন্য ইউটিউব কিংবা গণমাধ্যমে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ভিডিওতে বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট দেওয়া থাকে। ঠিক তেমনি আজকের এই ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এলোভেরা ব্যবহারের উপকারিতা। অ্যালোভেরা খুব সহজে আমাদের হাতের নাগালে পাওয়া যায়। অনেকের বাড়িতেই অ্যালোভেরা গাছ থাকে আবার বাজারেও সচরাচর কিনতে পাওয়া যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক এলোভেরার পাঁচটি উপকারিতা।

উপকারিতা সমূহঃ
১) ত্বকের শুষ্কতা দূর করণঃ
ত্বকের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি স্কিনের শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বককে প্রাণোচ্ছল বানাতে অ্যালোভেরার উপকারিতা অসীম। অ্যালোভেরা ও নিম পাতা– এই ২টি উপাদান মিলিয়ে বানিয়ে ফেলুন একটি পেস্ট। তরপর সেটি মুখে লাগিয়ে নিন। প্রসঙ্গত, ভালো করে মুখটা ধুয়ে নিয়ে ফর্মুলাটি লাগাবেন। নচেৎ ভাল ফল পাবেন না।

২) ঘামের গন্ধ দূর করণঃ
শরীরের ঘামের গন্ধ দূর করতে এলোভেরা বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। একটি পাত্রে পরিমাণমতো ভিনেগার, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা জেল এবং বেকিং সোডা নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে সামান্য পরিমাণে পানির ভাপ দিয়ে ফ্রিজিং করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে এই ফর্মুলাটি। তা বগলের নিচে ব্যবহার করলে বগলের নিচের দুর্গন্ধ দূর হয়।

৩)চুলের সমস্যাঃ
নতুন চুল গজানোর জন্য অ্যালভেরার রস নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসেজ করে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন, সপ্তাহে ২ বার করে ২ মাস। পরিবর্তন নিজেই লক্ষ করতে পারবেন। এ ছাড়াও অ্যালভেরার রস চুল কে কন্ডিশনিং করে মোলায়েম হতে সাহায্য করে যা অনেকদিন স্থায়ী থাকে। খুশকি দূর করতে এটি প্রহরীর মত কাজ করে। এটি রক্তের কলেস্টরেল দূর করতে সাহায্য করে।

৪) শসা ও অ্যালোভেরার উপকারিতাঃ
যাদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর, তারা এই ফেইস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি বানাতে একটা অ্যালোভেরা পাতা থেকে সংগ্রহীত জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা শসার রস মেশাতে হবে। যখন দেখবেন দুটি উপাদান ভালো মতন মিশে গেছে, তখন সেটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রসঙ্গত, তৈলাক্ত ত্বক, ময়লা এবং ত্বকে জমতে থাকা নানা ক্ষতিকর উপাদানকে পরিষ্কার করে ফেলতে এই ফেইস মাস্কটি দারুণ কাজে দেয়।

৫) লেবু ও অ্যালোভেরার উপকারিতাঃ
আপনার কি ড্রাই স্কিন? তাহেল এই ফেইস মাস্কটি আপনার জন্য একেবারে পারফেক্ট! কারণ অ্যালোভেরা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ, যা ব্রণ এবং চুলকানি কমায়। এখানেই শেষ নয় এই প্রাকৃতিক উপাদানটি লাগালে স্কিন আর্দ্র হয়। ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। কিভাবে বানাতে হবে এই ফেইস মাস্কটি? এটি বানানো খুব সহজ! পরিমাণমতো অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে এক ড্রপ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে দুটি উপাদান মেশান। তারপর তা মুখে লাগিয়ে কম করে হলেও ২০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।

বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ

Check Also

রঙ না করে পাকা চুল কালো করার ‘মিরাকেল ড্রিঙ্ক’! জে’নে নিন তৈরির পদ্ধতি

চুলে হাল’কা পাক ধ’রেছে? কিন্তু বয়সটা তো এখনও চুল পা’কার মতো হয়নি! তা হলে উপায়? …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *