নিজস্ব প্রতিবেদন: মানুষ সৃষ্টি লগ্ন থেকেই কৃষিকাজ যার সাথে সম্পর্কযুক্ত। আদিমকাল থেকে কিভাবে কৃষিকাজের উন্নতি করবে তা নিয়ে মানুষ অনেক গবেষণা করে আসছে। তাদের গবেষণার ফলে আজ দিন দিন নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন হয়েছে। কৃষিকাজের বড় একটি অংশ দখল করে আছে উদ্ভিদ। মানুষ জীবনধারণের জন্য উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। তাই কৃষিকাজের সবচেয়ে বড় অংশটি হচ্ছে উদ্ভিদ চাষ। এর মধ্যে রয়েছে ফলমূল, শাকসবজি ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ।যা আমরা উদ্ভিদ থেকে পেয়ে থাকি।
আমাদের দেশের প্রায় সকল এলাকাতেই দেশীয় ফলের চাষ করা হয়ে থাকে।দিন দিন এগুলোর বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের ফলন বৃদ্ধি করার বিভিন্ন কৌশল এর ভিডিও খুব সহজে ইউটিউব কিংবা বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায়। যা ব্যবহার করে কৃষকরা ফলন বৃদ্ধি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। আজকের ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে কাঁঠালের চারা তৈরি করলে খুব কম সময়ে অধিক ফলন ফলানো সম্ভব। আমাদের দেশে প্রায় সকল অঞ্চলেই পারিবারিক এবং বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের চাষ হয়ে থাকে।
যাতে এই পদ্ধতিতে চারা তৈরি করলে ফলন হবে দ্বিগুণ। নিচে তার বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো। আমরা সকলেই জানি যে সাধারণত কাঁঠাল গাছে ফলন আসতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যায়। কিন্তু তা কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার করলে খুব অল্প সময়েই কল আসবে এবং এর ফলন বেশি হবে। অনেকভাবেই কলম করা যায়। তবে কাঁঠাল গাছ কলম করতে হলে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। আজকের এই ভিডিওটিতে এক বিশেষ পদ্ধতিতে কাঠাল গাছে কলম দেওয়ার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তাই সুষ্ঠুভাবে কলম দেওয়া সম্পন্ন করতে না টেনে পুরো ভিডিওটি দেখতে হবে। কলম করার পদ্ধতি: এ পদ্ধতিতে দুটি গাছের সমন্বযয়ে একটি গাছ তৈরি করা হয়। দুই থেকে তিন মাস বয়সে একটি গাছ এবং প্রাপ্তবয়স্ক একটি গাছ নির্বাচন করতে হবে। প্রথমে ছোট গাছটি তুলে তার শিকড় থেকে মাটি গুলো সরিয়ে নিতে হবে। তারপর একটি পলিব্যাগে জৈব সার মিশ্রিত মাটি নিতে হবে তারপর এর মধ্যে ছোট চারাটি লাগিয়ে হলে তিনটি ভালো করে বেঁধে নিতে হবে। তারপর ছোট চারা টির গোরার পুরুত্ব অনুযায়ী বড় গাছের একটি ডাল নির্বাচন করতে হবে।
তারপর বড় ডালটি স্কোয়ার করে অর্ধেক কেটে নিতে হবে। এবং এর নিচে একটু জায়গা ছাল তুলে নিতে হবে। তারপর ছোট চারাটির গোড়ার দিকে পূর্বের ন্যায় স্কয়ার করে পুরোটা কেটে নিতে হবে। এবং ছোট চারাটি বড় ডালটির কাটা অংশে লাগিয়ে খুব শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে। এবং তা কিছুদিন বাঁধা অবস্থায় থাকলে জোড়া লেগে একটি গাছে পরিণত হবে। এবং তা পরবর্তীতে গাছের গোড়া থেকে পলিব্যাগ টি সরিয়ে যথাস্থানে রোপন করে দিতে হবে। গাছটির উপরের অংশ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি ফলন হবে।
এ পদ্ধতিতে কাঁঠালের চারা বংশবিস্তার করলে অল্প সময়ে এবং অল্প খরচে অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ছাড়া উৎপন্ন করার সহজ। যার মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়াও আরো বিভিন্ন পদ্ধতিতে কলমের চারার বংশবিস্তার করা সম্ভব। এরকম চারা কলম করার আরও বিভিন্ন ধরনের ভিডিও চিত্র খুব সহজেই ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। যা ব্যবহার করে কৃষি খাতের উন্নয়ন করা সম্ভব। আজকের এই পদ্ধতিতে চারা কলম করে বংশবিস্তার করতে না টেনে পুরো ভিডিওটি দেখার অনুরোধ রইলো।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ