পুষ্টিকর খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য অনেক জরুরী। কি খাবার কতটুকু খাচ্ছি তার উপর নির্ভর করে আমরা ফিট থাকব কি না। এই সময়েই আসে একজন ডায়েটিশিয়ানের কথা। কারিনা কাপুরের নিউট্রিশনিস্ট রুজুতা দিবাকর এই বিষয়ে কিছু টিপস দিয়েছেন।
রুজুতা দিবাকর তার ইন্সটাগ্রামে এর আগেও ডায়েট নিয়ে টিপস শেয়ার করেছেন। এবার আখের রসের উপকারিতার কথা তুলে ধরেছেন। সপ্তাহে তিনদিন দুপুরে খাবারের আগে আখের রস পান করা কতটা উপকারী শরীরের জন্য এ বিষয়ে তুলে ধরেছেন রুজুতা দিবাকর।
আখের রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ যা আপনার দেহের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাড়ে। জন্ডিসের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে আখের রস।
রুজুতা দিবাকর বলেছেন, আখের রস ক্লান্তিভাব দূর করতে সহায়তা করে সেই সাথে কিডনিও সুস্থ রাখে। আখের রস লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে এবং ত্বক থেকে ব্রণ সরায়।
কিডনির সুস্থতায়: কিডনিতে যদি পাথর থেকেও থাকে তবে আখের রস সুস্থতা দেয়। এছাড়া আখের রস খেলে প্রসাবে কোন সমস্যা হয় না এবং এতে করে কিডনি সুস্থ থাকে। ত্বক ও চুলের যত্নে: বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্রণ খুব সাধারণ একটি সমস্যা। আখের রস ব্রণ প্রতিরোধ করে সেই সাথে ব্রণের দাগও কমায়। শুধু তাই নয় খুশকির সমস্যাও কমায় আখের রস।
জন্ডিসের প্রতিকার: আখের রস আপনার লিভারকে শক্তিশালী করে তোলে। জন্ডিস যেহেতু একটি লিভারের রোগ,তাই সুস্থ থাকতে আখের রস খাওয়া জরুরী। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কমায়: আখের রস হজমকে উন্নত করে সেই সাথে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাও কমায়। পিরিয়ডের সময়: পিরিয়ডের সময় আখের রস অনেকটা স্বস্তি দেয়।
রুজুতা দিবাকরের পরামর্শ অনুযায়ী কখন আখের রস কখন খেতে হবে: ১.দুপুরের খাওয়ার আগে আখের রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। ২.সপ্তাহে তিনদিন খেতে পারলে খুব ভালো। ৩.আখের রস খাওয়ার চেয়ে চাবিয়ে রস খাওয়া অনেক ভালো। ৪.ডায়াবেটিস থাকলে হাফ গ্লাস আখের শরবত খান। ৫.বাজারের প্রসেস করা আখের রসের চেয়ে প্রকৃত আখের রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। সূত্র: হেলথ শটস