নিজস্ব প্রতিবেদন: আমরা সকলেই জানি যে যদি কেউ কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে শা,স্তি ভোগ করতে হবে। অপরাধ ছোট কিংবা বড় হোক অবশ্যই তাঁকে তাঁর অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে। কিন্তু কোন প্রাণীকে তার অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃ,ত্যুদ,ণ্ড দেওয়া হয়েছে এরকম ঘটনা মনে হয় এর পূর্বে কেউ শুনেনি ।এ ধরনের আজব ঘটনাও পৃথিবীতে ঘটেছে। আজকে আমরা জানবো এমন একটি ঘটনা যেখানে একটি হাতিকে তার শাস্তি হিসেবে মৃ,ত্যুদ,ণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
আজকের ভিডিওটি একটু অন্যরকম হতে চলেছে। আজকের এই ভিডিওটিতে যা দেখবেন হয়তো এর পূর্বে কেউ কোনদিন তা দেখেননি।আজকের এই ভিডিওটি দেখলে আপনি মানতে বাধ্য হবেন যে পৃথিবী নামক এই গ্রহে সবচেয়ে নির্দয় প্রাণী হচ্ছে মানুষ। কিন্তু এটাও ঠিক যে বর্তমানে মানুষ হয়েও মানুষেরই প্রানের মায়া করে না। সেখানে মানুষ কিভাবে একটি অসহায় প্রাণীর প্রানের মায়া করবে। মানুষ কতটা নির্দয় হতে পারে তা জানতে আজকের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।
আজকের এই ভিডিওটিতে ধারণ করা হয়েছে আজ থেকে প্রায় 105 বছর পড়বে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনাটি 1916 সালে ঘটেছিল আমেরিকাতে। তখন বিশ্বের মধ্যে উন্নত এবং শিক্ষিত জাতির মধ্যে একটি ছিল আমেরিকা । কিন্তু এই একটি ঘটনার মাধ্যমে তারা তাদের মর্যাদা কে ধুলিস্যাৎ করে দেয়। আমেরিকার টেনিস নামে একটি শহরে বিশালের সার্কাসের আয়োজন করা হতো। তখন সার্কাস দেখার জন্য আমেরিকার বিভিন্ন শহরের মানুষ টেনিস শহরের ভিড় করত। এই সার্কাস কোম্পানিটি খুব জনপ্রিয় ছিল।
আর সেই সার্কাস কোম্পানিতে একজন জনপ্রিয় সুপারহিরো ছিল মেরি নামের একটি হাতি। যার ওজন ছিল 500 কেজি। মেরি তার সার্কাস দেখিয়ে হাজার হাজার দর্শক জনতার মন কেড়ে নিয়েছিল। সেইসার্কাস টিমে বিভিন্ন রকম প্রাণী থাকলেও হাতিটি ছিল সবচাইতে জনপ্রিয়। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতো শুধুমাত্র এই হাতিটির বিভিন্ন কলাকৌশল দেখতে। আর মেরিও সবাইকে খুব আনন্দ দিত।
মেরি এবং তার ট্রেইনার এর মধ্যে একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। এবং দুজন দুজনকে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারত। সার্কাসের মালিক মেরির মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করতো। কিন্তু হঠাৎ করেই মেরির জীবনে কালো অন্ধকার নেমে আসে। কারণ তার সবচাইতে কাছের বন্ধু যে তাকে দেখাশোনা করত তার সাথে সার্কাসের মালিকের ঝগড়া হয় এবং সে এখান থেকে চলে যায়। এবং এই বিষয়টি মেরি বুঝতে পারে এবং সে এটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিল না। আর তাই মেরি সব সময় মন খারাপ করে বসে থাকতো।
সার্কাসের মালিক মেরির জন্য নতুন করে কেয়ারটেকার নিয়োগ করলো।কিন্তু মেয়েটি তার নতুন কেয়ারটেকারকে একদমই পছন্দ করত না।কেননা তাঁর নতুন কেয়ারটেকার ছিল একটু বদমেজাজি। সে কথায় কথায় মেরিকে আঘাত করতো। এর কিছুদিন পর সরকারের মালিক একটি রোড শো করার পরিকল্পনা করলো। একদিন একটি রোড শো এর সময় মেরি রাস্তার পাশে কলা দেখে সার্কাস দেখানো বাদ দিয়ে সে দৌড়ে কলা খেতে চলে যায়। কেননা সে খুব ক্ষুধার্ত ছিল। আর তখন মেরির কেয়ারটেকার তাকে সার্কাসের ফিরিয়ে আনার জন্যে জোরে জোরে আঘাত করতে থাকে।
মেরি একসময় রেগে গিয়ে তার নতুন কেয়ারটেকারকে পায়ে পিষে মেরে ফেলে। এবং সে এখান থেকে পালিয়ে যায়। এবং পরবর্তী সময়ে ওই শহরের মানুষেরা মেরির ঐদিনের কর্মকাণ্ডের উপর বিরক্ত হয়ে তার মৃ,ত্যুদ,ণ্ডের জন্য আন্দোলন করে। এবং তার বিরুদ্ধে কোর্ট এ একটি মামলা করে। এবং কোর্ট তাকে ফাঁ,সিতে ঝুলিয়ে মৃ,ত্যুদ,ণ্ডের আদেশ দেয়। এবং একটি ক্রেনে ঝুলিয়ে মেরির মৃ,ত্যু,দণ্ড কার্যকর করেন। এবং এভাবেই নির্মমভাবে শেষ হয়ে যায় মেরি নামে একটি হাতির জীবনের গল্প।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ